মাদকের ভয়াবহ ছোবল তরুন প্রজন্ম বিপর্যস্ত ।
মাদকদ্রব্য কি?
যে নেশার দ্রব্য গ্রহন করার ফলে ব্যক্তির শারিরীক ও মানসিক একটা পরিবর্তন ঘটে এবং ব্যক্তির ঐ দ্রব্যের প্রতি ধীরে ধীরে বেশিমাত্রায় নেশা হওয়া ,যা তার সামাজিক ওদৈনন্দিন কার্যাবলিতৈ প্রভাব রাখে এটাই নেশাদ্রব্য বা মাদকদ্রব্য । বিভিন্ন মাদক দ্রব্য হল মদ,সিগারেট,ফেনসিডিল,ইয়াবা,সিসা,গাঁজা,কোকেইন,হেরোইন,আফিম ইত্যাদি ।
মাদকাসক্তির কারন :
ধর্মীয় মূল্যবোধ,পরিবারিক বন্ধনের অভাব,সামাজিক বিছিন্নতা নতুন প্রজন্মের মাদকাসক্তের জন্য দায়ী ।এছাড়া,পশ্চিম সংস্কুতি ।নুসরন,আকাশ সংস্কৃতি,উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন , হতাশ,যন্ত্রনা ,কষ্ট,ব্যর্থতা,অবজ্ঞা,অসৎ সঙ্গও মাদকসক্তের জন্য দায়ী ।
কীভাবে মাদকাসক্ত হয় :
প্রথমে কৌতূহল ,তারপর একটু ভালো লাগা ,পরে আস্তে আস্তে এর মধ্যে তলিয়ে যাওয়া –এ হচ্ছে মাদক গ্রহণের পারিনাম। সাবধানত মাকদাসেবী বন্ধুবান্ধবের প্ররোচনায়ই মাকদ সেবনের প্রথম ধাপে সূচনা ঘটে । দেশে মাদকসেবীর ৮০ শতাংশ তরুন তরুনী,যাদের ৬১ শতাংশই বন্ধুবান্ধবের মাদ্যমে মাদকাসক্ত হয়েছে। মাদকসেবীরা একজন নিরীহ বন্ধুকেও মাদকরে সংস্পর্শে নিয়ে আসে ।
মাদকাসক্তির উপাদান:
১। ইয়াবা
২। হেরোইন
৩। ফেনসিডিল
৪। গাঁজা
৫। মদ
৬। অন্যান্য নেশাদ্রব্য
তরুন সমাজে প্রভাব:
মাকদের কারনে বেড়ে যাচ্ছে সামজিক অবক্ষয় ,তরুন সমাজে ক্ষয়ে যাচ্ছে নৈতিক মূল্যেবোধ । ভেঙ্গে পড়ছে পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে আস্থা-বিশ্বাস ,সামজে তৈরি হচ্ছে আতন্ক । কাঁপন জাগছে সর্বস্তরের মানুষের মনে ঘরে ঘরে । মাদক কেড়ে নিচ্ছে তরুনের জীবন,মাদকের কারনে ভাই খুন করছে ভাইকে ,বোনও নিরাপদ নয় মাদকাসক্ত ভাইয়ের কাছে,স্বামী খুন করছে স্ত্রীকে ,ছেলে খুন করছে বাবাকে, মাও ভাড়াটিয়া খুনি দ্বারা খুন করছে তার সন্তানকে । মাদকাসক্তির কারণে বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতা,বাড়ছে নারী নির্যাতনও বিবাহ বিচ্ছেদ ,বাড়ছে আত্মহননও ।
মাকদ ও বাংলাদেশ :
বাংলাদেশের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশে ৬৮ লাখ মানুষ মাকদাসক্ত। এদের মধ্যে ৮৪ ভাগ পুরুষ ,১৬ ভাগ নারী । দেশজুরে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ নানাভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জরিত । মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের মতে দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৪৭ লাখ । যার মধ্যে ৯০% কিশোর-তরুন হিসেবে পরিচিত । নতুন প্রজন্ম বা তরুনেরা কত পির্যয়ের মুখোমুখি তার নির্মম চিত্র ঐশী । যার হাতে নিজ পিতা-মাতা খুন হয় । পরিবার ও সামাজিক জীবনের অস্তিত্বের শিকড় ধরে টান দেয়ার মত অঘটন । যা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে । ধ্বংসের দানব মাদক দেশের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করছে । অভিজাত এলাকায় থেকে বস্তি সবখা নই মাদকের ছাড়াছড়ি । ইয়াবা-হেরোহিন-পেথেড্রিন –গাজা নামক মাদকের ছোবল আকান্ত নতুন প্রজন্ম । এত ভেঙ্গে দিচ্ছে আগামী তরুনদের জীবন তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে আমাদের ছেলে মেয়েদের এই নেশাদ্রব্য থেকে দেশ জাতী সমাজ রক্ষা করতে এগিয়ে আসতে হবে রাষ্ট্র সমাজ ।
মাকদ থেকে নিরাময়:
মাদক থেকে মুক্ত হতে হলে নিজের ও পারিবারিক উদ্যোগ বিফল হলে মাদকাসক্ত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ,অভিজ্ঞ মাদকা কোন কাউন্সিলর , অভিজ্ঞ সাইকোলজিষ্ট বা অভিজ্ঞ কোন চিকিৎসকের সাহয্যে নিতে হবে । তাদের পেছনে লেগে থাকতে হবে । এক ঐশী –আতন্কে ডুবে থাকলে চলবে না । ঘরে ঘরে যেন কোন নতুন এশীর জন্ম না হয় সেই শিক্ষাই নিতে হবে এই মামন্র্তিক হত্যাকান্ড থেকে । পরিস্থিতি গোপন করা চলবে না ঘনিষ্ঠ স্বজনদের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করে সংকট উত্তরনের পথে এগোতে হবে ।
সামজের দায়িত্ব:
সরকারসহ ,সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে আমাদের তরুনদের সাহায্য করতে । তারা যাতে ঐ পথে না যেতে পারে । নেশার ভয়াবহতা সম্বন্ধে তাদেরকে জানাতে হবে। নিজেও ছাড়তে হবে অপরকেও বোঝাতে হবে ও পুনর্বাসন করতে হবে ভুক্তভোগীদের । বাবা মা ,পরিবেশ,বন্ধু,শিক্ষক ও সামাজিক অসহযোগিতার কারনে তারা বিষন্নতায় ভোগে । এত করে নেশার কালো থাবার শিকার হচ্ছে আমার দেশের সোনার তরুন-তরুণীরা । এই অবস্থা থেকে তাদের ফিরেয়ে আনতে হবে। তরুণদের সাথে মিশতে হবে,তাদের বুঝতে হবে, সময় দিতে হবে । বন্ধু জীবনে একবারের জন্যও কৌতূহলবশত গ্রহন করো না কোন ধরনের মাদক ।
আমরা সবাই মিলে একসাথে উচ্চ কন্ঠে উচ্চারণ করি মাদকদ্রব্য নেশাকে না বলি এটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা এবং কামনা নেশা মুক্ত সমাজ, জাতী, ও দেশগড়ী।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS